December 22, 2024, 7:46 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
কুষ্টিয়ায় তিন মাসের বিবাহিতা অপ্রাপ্তবয়স্ক এক স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার বিকেলে খাদিজা খাতুন (১৫) নামের ঐ মেযেটির মৃতদেহ বাথরুমের দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয়। পলাতক অবস্থায় থাকা ঐ মেয়েটির শশুরের দাবি খাদিজাকে ‘জ্বীনে’ হত্যা করেছে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, খাদিজা পাবনার ঈশ্বরদীর ইলিয়াস মজমাদারের মেয়ে। তিন মাস আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। খাদিজার স্বামী তোহিদ মিয়া কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা সদরের থানাপাড়ার সোহেল মিয়া ও পাপিয়া দম্পতির দত্তক ছেলে। সেও অপ্রাপ্ত বয়স্ক। স্থানীয় একটি স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র।
খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা হাবিবুলাহ জানান প্রাথমিকভাবে প্রমানগুলোতে মনে করা হচ্ছে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। পারিবারিকভাবে উভয় পরিবার পরস্পর আত্মীয়। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সদ্ভাব ছিল না।
কারন হিসেবে তিনি উলেখ করেন মাস ছয়েক আগে তৌহিদ মিয়া প্রেম করে তার স্কুলের সহপাঠি এক মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যায়। সেই বিসয়টি মিটমাট করে দ্রুত তৌহিদকে খাদিজার সাথে বিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু বিয়ের পরও তৌহিদ ঐ প্রেম অব্যাহত রাখে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দ্ব›দ্ব লেগেই ছিল।
ওসি আরও জানান ঈদের দিন রাতে তাদের মধ্যে প্রচন্ড ঝগড়া হয়।
নিহত গৃহবধুর দত্তক শ্বাশুড়ি পাপিয়া খানম জানান, ঐ দিন তার ছেলে তৌহিদ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলো। খাদিজা বাথরুমে গোসল করতে গেলে আসতে দেরি হওয়ায় ভেতর থেকে সাড়াশব্দ না পেয়ে বাথরুমের দরজা ভেঙে খাদিজাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করে।
এদিকে নিহত গৃহবধুর শ্বশুর সোহেল মিয়া ও তৌহিদ ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন। তিনি পোনে জানান মৃত গৃহবধু তার ফুফাতো ভাইয়ের মেয়ে। মেয়েটির (গৃহবধুর) ঘাড়ে জ্বীনের আছর ছিলো জ্বীনেই নেই তাকে হত্যা করেছে।
খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা.সুস্মিতা সরকার জানান, নববধূকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।
মৃত গৃহবধু খাদিজার বাবা ইলিয়াস মজুমদার জানান, অষ্টম শ্রেনীতে পড়ুয়া অবস্থা গত ৩ মাস আগে বিয়ে হয় খাদিজার। তাঁর মেয়ের কোনো রোগ ছিলোনা বলে জানান তিনি। মেয়ে গলাই দড়ি দিয়ে আতœহত্যা করেছে বলে জানানো হয় তাকে।তিনি এই রহস্যজনক হত্যাকাণ্ডের সঠিক তদন্ত ও সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
ওসি মোস্তফা হাবিবুলাহ জানান ঐ মেয়ের শশুর ও তার স্বামীকে পলাতক অবস্থা থেকে অতিদ্রত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। মেয়েটেরি শাশুরি পাপিয়া খাতুনকেও স্থান ত্যাগ না করতে বলা হয়েছে।
নিহতের লাশ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এখনও কোন মামলা হয়নি।
Leave a Reply